চাকরির পরীক্ষায় ভাইভা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা একজন প্রার্থীর যোগ্যতা, আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতার ওপর মূল্যায়ন করে। একটি সফল ভাইভার জন্য সঠিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু করণীয় বিষয় দেওয়া হলো, যা একটি সফল ভাইভার জন্য সহায়ক হতে পারে:
১. নিজের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখুন:
আপনার শিক্ষা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহের বিষয়গুলো ভালোভাবে জানুন।
সিভি বা রিজিউমে দেওয়া প্রতিটি তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত প্রস্তুতি নিন।
আপনার পছন্দ-অপছন্দ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং নিজেকে কেন এই চাকরির জন্য উপযুক্ত মনে করেন, তা ভালোভাবে প্রস্তুত করুন।
২. প্রতিষ্ঠান ও পদের সম্পর্কে গবেষণা করুন:
যে প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিতে যাচ্ছেন, তাদের ইতিহাস, মিশন, ভিশন এবং কাজের ধরণ সম্পর্কে জানুন।
পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং দায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা নিন।
৩. সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত করুন:
কিছু সাধারণ ভাইভা প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখা ভালো। উদাহরণস্বরূপ:
“নিজের সম্পর্কে বলুন।”
“আপনার দুর্বলতা ও শক্তি কী?”
“এই পদে কেন যোগ দিতে চান?”
“আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনি কী জানেন?”
“আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?”
৪. নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন:
ভাইভা বোর্ডের সামনে শান্ত ও স্বাভাবিক থাকুন।
চোখে চোখ রেখে কথা বলুন এবং নম্র ও পরিষ্কারভাবে উত্তর দিন।
নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করুন।
৫. পোশাক ও ব্যক্তিত্বের যত্ন নিন:
ফর্মাল এবং পরিপাটি পোশাক পরিধান করুন।
সময়মতো পৌঁছান এবং নিজের আচরণে সৌজন্য বজায় রাখুন।
৬. কারিগরি জ্ঞান ও বর্তমান বিষয় নিয়ে প্রস্তুত থাকুন:
আপনার বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কারিগরি বা পেশাগত জ্ঞানের উপর জোর দিন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমসাময়িক ইস্যু সম্পর্কে অবগত থাকুন।
৭. ভাষার দক্ষতা উন্নত করুন:
যদি ভাইভা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় হয়, তবে সেই ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলার অভ্যাস করুন।
৮. সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখুন:
সোজা হয়ে বসুন এবং আত্মবিশ্বাসী দেখান।
অপ্রাসঙ্গিক অঙ্গভঙ্গি থেকে বিরত থাকুন।
০৯. শেষে ধন্যবাদ জানান:
ভাইভা শেষে বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। এটি আপনার শালীনতা এবং সৌজন্য প্রকাশ করে।
সঠিক প্রস্তুতি এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকলে আপনি একটি সফল ভাইভা দিতে সক্ষম হবেন। শুভকামনা!